সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ইউজ করে লেখাপড়া করার আল্টিমেট গাইড

The-Ultimate-Guide-To-Study-By-Smartphone

লেখাপড়া করা ছাড়া জীবনে উন্নতি করা সম্ভব না। কথাটা আমরা সবাই শুনেছি। হয়তোবা আম্মু-আব্বুর কাছ থেকে কিংবা বড়ো ভাই-বোনদের কাছ থেকে। সবারই স্বীকার করতে হবে যে আসলেই লেখাপড়া ছাড়া জীবনে কোনো উপায় নেই।

তবে সত্যি বলতে অনেক সময় লেখাপড়া করতে কারোরই ভালো লাগে না কারণ অনেক সময় সেই একই গণিত বা ইংরেজির বই পড়তে পড়তে একটা বিষাদ চলে আসে। তাই ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, "স্টাডি স্মার্ট নট হার্ড"। 

তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কিভাবে স্মার্টলি পড়াশোনা করবো ? যদিও অনেক ভাবেই স্মার্টলি বা বুদ্ধির সাথে লেখাপড়া করা যায় আমরা ব্যাক্তিগত পছন্দ হলো অ্যাপ ব্যাবহার করে পড়াশোনা করা।

তবে সেটা তখনই সম্ভব যখন অন্যান্য অ্যাপ থেকে নিজের হারানো সময় ফিরিয়ে আনা যায়।

তাই আজকের আর্টিকেল আমরা বিশদভাবে দেখবো ২৭টি সেরা অ্যাপ শিক্ষার্থীদের জন্য যেগুলো ব্যাবহার করে যে কেউ আরো মজা ও ভালোবাসার সাথে লেখাপড়া করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যাবহার করে লেখাপড়া করার আল্টিমেট গাইড

অ্যাপ ব্লকার অ্যাপস– ভালো করে পড়ায় মনযোগ দেওয়ার জন্য

স্মার্টফোনে আসক্তি এতটা বেড়ে গেছে যে এখন এক মুহূর্তের জন্য স্মার্টফোন থেকে চোখ সরিয়ে রাখা সম্ভব না। অ্যাপ ব্যবহার করে লেখাপড়া করা একটা চমৎকার ব্যাপার কিন্তু অন্যান্য অ্যাপ যদি সেই উদ্দেশ্যকে বিফল করে তাহলে সেটা ঠিক না। 

তাই এই অ্যাপ ব্লকার অ্যাপগুলো ইউজ করে সহজেই সেই সব অ্যাপকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্লক করে রাখা যাবে।

1. Stay Focused

Stay-Focused

লিস্টে সর্বপ্রথম যেই অ্যাপটি আছে সেটা হলো Stay Focused। এর নাম দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে যে এটি কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে ও বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আসলেই তাই। এই অ্যাপটি পড়াশোনার সময় ফোনের বাকি অ্যাপগুলোকে ডিস্ট্র্যাক্ট করতে দেবে না।

অ্যাপটি ফোনের যাবতীয় অ্যাপ ও গেম ব্লক করতে সক্ষম যতক্ষণ না আপনি সেগুলো হোয়াইট লিস্টে (White List) রাখবেন। তাছাড়া আপনি অ্যাপগুলোতে একটা টাইম লিমিট সেট করতে পারবেন যেটা অতিক্রম করার পর সেই অ্যাপটি ব্লক হয়ে যাবে।

অ্যাপটি আপনাকে ডেইলি ইউজ করা অ্যাপ গুলো নিয়ে একটা ইউসেজ রিপোর্ট দেখাবে যেটা আপনাকে বলে দেবে কোন অ্যাপে আপনি বেশি সময় খরচ করছেন। আপনি কাস্টম মোটিভেশনাল টেক্সট সেট করতে পারবেন যেটা ব্লক করা অ্যাপ খোলার সময় চলে আসবে। 

যদিও অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি তবে যারা প্রিমিয়াম ভার্সন কিনবেন তারা ডেইলি ইউসেজ কন্ট্রোল করার জন্য আরো অনেক টুল পাবেন। এই অ্যাপটি অবশ্যই তাদের জন্য যারা পড়ালেখা করার সময় ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক মেসেজ আসলেই পড়াশোনা ভুলে যায়।

যাদের ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা তার পরের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন চলছে তাদের অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে না কেননা আপনার ফোনে আগে থেকেই গুগল ডিজিটাল ওয়েল বিং টুল আছে। 

অ্যাপেল ইউজাররাও একই জিনিষ পাবেন তবে অ্যাপ স্টোরে আলাদা কোনো স্ক্রিন টাইম মনিটর নেই।

2. Forest: Stay Focused

Forest-Stay-Focused

অ্যাপটি অনেকটা আপনার ধৈর্য পরীক্ষা করবে। স্মার্টফোন অ্যাডিকশন ট্যাকেল করার জন্য এই অ্যাপটি আমি বিশেষভাবে রেকমেন্ড করি। অনেক বছর ধরেই অ্যাপটি গুগল প্লে ও অ্যাপ স্টোরে আছে আর অনেক টেক সাইট, ইউটিউব চ্যানেল এই অ্যাপটিকে রেকমেন্ড করেছে।

অ্যাপটির কনসেপ্ট কিন্তু সিম্পল। আপনাকে ছোট একটা গাছ কে অঙ্কুরোদগম থেকে সম্পূর্ণ বড়ো করতে হবে। আর এই কাজটি করতে হলে স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। যতক্ষণ ফোন ইউজ করবেন না ততক্ষণ আপনার গাছ বড়ো হতে থাকবে।

একবার যখন ফোন ইউজ করা শুরু করবেন আপনার গাছ আবার ছোট হয়ে যাবে। একটা ভালো অ্যাডিকটিভ উপায়ে অ্যাপটি আপনার স্মার্টফোন আসক্তি কমিয়ে তুলবে। এছাড়া অ্যাপটিতে ডেইলি ইউসেজ দেখা যাবে এবং অ্যাপ টাইমার সেট করা যাবে।

তাছাড়া আপনি যে কয়বার গাছ বড়ো করেছেন আর কতখানি বড়ো করেছেন তার হিস্টিরিও দেখতে পাবেন। তাই একবার ট্রাই করে দেখবেন

3. AppBlock

AppBlock

অ্যাপ ব্লকিং এর জন্য আরেকটি ভালো অ্যাপ হলো App Block। অ্যাপটি শুধু যে অ্যাপ ব্লক করে তা নয় এর সাথে যেকোনো অ্যাপের নোটিফিকেশনও ব্লক করতে পারে।

আপনি প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে পারেন যেটাতে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে প্রোফাইলটি কত দিন সক্রিয় থাকবে এবং কোন অ্যাপগুলো ব্লক করতে হবে।

অ্যাপ ব্লক যেই নোটিফিকেশন গুলো ব্লক করবে সেটা অ্যাপটির ব্লকড নোটিফিকেশন সেকশন থেকে দেখা যাবে। আপনি ভাবতে পারেন যে যেহেতু অ্যাপটি প্রোফাইল অনুযায়ী অ্যাপ ব্লক করে তাহলে প্রোফাইলটি অফ করে রাখলেই বুঝি আপনি ব্লক করা অ্যাপগুলো ইউজ করতে পারবেন। আসলে সেটা আংশিকও সত্যি না।

প্রোফাইল লক করার সুবিধাও এতে আছে যেটা প্রোফাইল ডিলিট করা অনেক কঠিন বানিয়ে দেবে। যেমন: আপনি চাইলে প্রোফাইলটি তখনই আনলক করতে পারবেন যখন আপনি ফোনের সাথে কোনো পাওয়ার সোর্স কানেক্ট করবেন কিংবা আপনি পিন কোড সেট করতে পারেন।

অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি তবে যদি এর প্রিমিয়াম ভার্সন কিনেন তাহলে ৩ টার বেশি প্রোফাইল বানাতে পারবেন, সবগুলো ব্লকড নোটিফিকেশন স্টোর করতে পারবেন, প্রোফাইল আনলিমিটেড টাইম ইন্টারভাল ও অ্যাপ রাখতে পারবেন।

সেরা প্ল্যানিং অ্যাপ– ভালো করে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য

আচ্ছা, আমরা বিভ্রান্তকারি অ্যাপগুলো ব্লক করলাম। এবার আমরা কোনো টেনশন ছাড়া ফোন ব্যাবহার করে পড়াশোনা করতে পারবো। তবে আরেকটু বিষয় যেটা একই সমান গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো নিজের পড়াশোনা নিয়ে  প্ল্যানিং করা। 

প্ল্যানিং অ্যাপগুলো আপনাকে বলে দিবে কখন ক্লাস বা পরীক্ষা আর কিভাবে পড়া দরকার কিংবা আপনার স্টাডি শিডিউল বানাতে সাহায্য করবে । তাই আমরা এখানে দেখবো ২টি ভালো প্ল্যানিং অ্যাপ।

1. myhomework Student Planner

myhomework-student-planner

পড়াশোনা প্ল্যানিং করার জন্য সবচেয়ে ভালো অ্যাপ হলো myhomework Student Planner, একজন স্টুডেন্ট এর জন্য এটি একটি মাস্ট-হ্যাভ অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যাবহার  করে আপনি হোমওয়ার্ক স্টোর করতে পারবেন, আর ক্লাস শিডিউল বানাতে পারবেন।

ক্লাসের নাম টাইপ করতে পারবেন যাতে বার বার একই ক্লাসের নাম টাইপ না করতে হয়। অনেক ধরনের হোম ওয়ার্ক টাইপ থেকে সিলেক্ট করা যাবে যেমন: টেস্ট, স্টাডি, ল্যাব, প্রজেক্ট ইত্যাদি। হোম ওয়ার্ক গুলোকে হাই প্রায়োরিটি ও লো প্রায়োরিটিও দেওয়া যাবে।

অ্যাপটিতে একটা একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি অনেক ইউজফুল ফিচারস পাবেন। অ্যাপটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম সিনক্রোনাইজেশন সাপোর্ট করে তাই আপনি যেকোনো ডিভাইস থেকে এর ডেটা অ্যাকসেস করতে পারবেন। 

হোমওয়ার্ক এ রিমাইন্ডার এবং ফাইল অ্যাটাচ করতে পারবেন। কোনো হোমওয়ার্ক কমপ্লিট করা হলে সেটাতে লং প্রেস করে ডান (Done) মার্ক করতে পারবেন। অ্যাপটিতে ক্যালেন্ডার ভিউ থাকায় আপনি ক্লাস শিডিউলগুলো সহজেই দেখতে পারবেন।

2. Google Calendar

Google-Calendar

স্টাডি প্ল্যানিং এর জন্য যেই অ্যাপ সেরা হবে– Google Calendar। এই অ্যাপটি যে কেবল আপনার স্টাডি শিডিউল স্টোর করে তা নয় বরং সম্পূর্ণ দিনের শিডিউল রাখতে পারে। অ্যাপটির সিমলেস ইন্টারগ্ৰেশন ও ক্রস প্ল্যাটফর্ম সিনক্রোনাইজেশন একে নিঃসন্দেহে একটা বেস্ট প্ল্যানিং অ্যাপ বানায়।

অ্যাপটি যেই প্ল্যাটফর্ম এই ইউজ করেন না কেনো তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। ইভেন্টে তৈরি করতে পারবেন, রিমাইন্ডার সেট করতে পারবেন এমনকি গোলও সেট করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার সকল ইভেন্ট, রিমাইন্ডার বা গোল এর নোটিফিকেশন আপনি পেয়ে যাবেন।

গুগল ক্যালেন্ডার অ্যাপটি আপনার জি মেইলে আসা মেইলগুলো থেকে ইভেন্ট ও বুকিং গুলো অটো ম্যাটিকালি অ্যাড করতে পারে। এইটা অনেক কাজে দিতে পারে যখন আপনি অনেকগুলো ইভেন্ট নিয়ে পাগল হয়ে গেছেন।

তাছাড়া আপনি ইভেন্ট, রিমাইন্ডার, গোল সার্চ করতে পারবেন অ্যাপটি ব্যাবহার করে।

সেরা টাস্ক ম্যানেজার– ঠিক সময়ে কাজ শেষ করার জন্য

লেখাপড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ হলো সময়নিষ্ঠা। এই গুণটা না থাকলে কখনো সময়ের কাজ সময়ে করা যায় না। ওয়েল, স্টুডেন্টদের জন্য এমন একটি অ্যাপ দরকার যেটা সকল হোমটাস্ক এর সাথে তার অন্যান্য কাজের সম্বয় বজায় রেখে একটা সুষম পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

আমরা সাজেস্ট করবো ২টি টাস্ক ম্যানেজার বা টু-ডু-ইস্ট অ্যাপ যেগুলো সাহায্য করবে ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে এবং প্রোডাক্টটিভিটিও বুস্ট করবে।

1. Microsoft To Do

Microsoft-To-Do

বেস্ট টাস্ক ম্যানেজার অ্যাপের কথা বললে সবার আগে বলতে হয় Microsoft To Do এর কথা। এটি একটা সিম্পল নোট টেকিং অ্যাপ।  অ্যাপটির এলিগ্যান্ট ইন্টারফেস ও অনেকগুলো কাস্টোমাইজেশন অপশন আপনার টু-ডু গুলোর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রদান করবে।

আর টাইমলি রিমাইন্ডার থাকার সুবাদে আপনি কখনো ভুল করেও একটা টাস্ক করতে ভুলবেন না। অ্যাপটির সবচেয়ে দারুন ফিচার হলো সিমলেস কোলেবরেশন যেটা অনেক গুলো ইউজার এর কাছে একসাথে অনেকগুলো টাস্ক সিঙ্ক করে দেয় ফলে তারা একসাথে কাজ করতে পারবে।

টু-ডু অ্যাপটিতে একটা বিল্ট-ইন ক্যালেন্ডার আছে যেটা আপনাকে ইভেন্ট প্ল্যান করতে সাহায্য করবে এবং আপনি সেগুলো সহজেই খুঁজতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাপটিতে আছে ইমোজি সাপোর্ট যেটা পার্সোনালাইজেশন এর জন্য ভালো এবং কালারফুল থিম যেটা আপনার টু-ডু গুলোকে একটা জোস লুক এন্ড ফীল দেবে।

সর্বোপরি, সকল টাস্ক টাইমলি কমপ্লিট করে প্রোডাক্টিভিটি বুস্ট করার জন্য Microsoft To Do একটা সেরা অ্যাপ।

2. Google Tasks

Google-Tasks

সময়ের কাজ সময়ে করতে হলে যেই অ্যাপ লাগে সেটার আধুনিক, মিনিমাল, সিম্পল ও গুগল রূপ হলো Google Tasks। অ্যাপটিতে টাস্ক ক্রিয়েট করতে পারবেন এবং তার মধ্যে আবার সাব টাস্ক বানানোর অপশনও আছে।

অ্যাপটিতে বানানো টাস্ক একটা বুলেটেড লিস্টে দেখাবে এবং আপনি সেই টাস্ক হয় গেলে সেগুলো কমপ্লিট মার্ক করতে পারবেন বা একটা নির্দিষ্ট তারিখ সেট করতে পারবেন সেই টাস্কের।

প্রত্যেকটি টাস্ক একটা লিস্টের আন্ডারে থাকে এবং আপনি অসংখ্য লিস্ট বানাতে পারবেন। অ্যাপটির সিম্পলিসিটি এর জন্য অন্যান্য টু-ডু অ্যাপ থেকে এতে কিছু ফিচারস কম আছে। তবে সেটা একজন স্টুডেন্ট এর জন্য কোনো বেশি প্রবলেম হবে না।

ল্যাপটপে বা ডেস্কটপে জিমেইলের ওয়েব ইউজ করলে আপনি আপনার টাস্ক গুলোর ওভারভিউ দেখতে পাবেন গুগল ক্যালেন্ডার ও গুগল কিপ অ্যাপ গুলোর কাছে।

সেরা নোট টেকিং অ্যাপ– পয়েন্ট নোট করার জন্য

এখন আপনার সবকিছু প্ল্যান করা হয়ে গেছে এখন সেটা বাস্তবায়ন করার সময়। যেকোনো সাবজেক্ট হোক সেটা গণিত, বাংলা, বিজ্ঞান (কমার্স), ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি লেকচার এর নোট নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ল্যাপটপে নোট নেওয়া একটা ভালো অপশন তবে সব সময় ল্যাপটপ বের করা একটা ভালো অভ্যাস না। তাই অনেক সময় আপনাকে ছোট আর দ্রুত নোট নেওয়ার জন্য ফোন ব্যাবহার করতে হয়। তাই আমি নিম্নে কিছু ভালো নোট টেকিং অ্যাপ রেখে দিচ্ছি। 

1. OneNote

Microsoft-OneNote

ল্যাপটপে অনেকেই Onenote নামক নোট টেকার অ্যাপ ইউজ করেন। জেনে খুশি হবেন যে আপনি এই একই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস প্ল্যাটফর্মেও ব্যাবহার করতে পারবেন। তাছাড়া নোট গুলো আপনার যাবতীয় ডিভাইসে সিঙ্ক হয়ে যাবে তাই নাথিং টু ওয়ারি।

যদি আগে উইন্ডোজ বা ম্যাক এ আপনি এটা ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে এর বেশিরভাগ ফিচার এর সাথে আপনি পরিচিত হবেন। তবে অ্যাপটিতে যদি মাইক্রসফট একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করেন তাহলেই কেবল নোটগুলো সিঙ্ক হবে।

মাইক্রোসফট একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন না করলে কেবল একটা কুইক নোট নিতে পারবেন আর সেটা সিঙ্কও হবে না। অ্যাপটি সেরা নোট টেকিং অ্যাপ গুলোর একটি।

আপনি আলাদা আলাদা নোটবুক বানাতে পারবেন নোট অর্গানাইজ করার জন্য। প্রত্যেকটি নোট এর আলাদা সেকশন বানাতে পারবেন আরো ভালোভাবে নোট ম্যানেজ করার জন্য। তাছাড়া আপনি একটা নোটে একাধিক পেজ বানাতে পারবেন।

আপনি নোটগুলোতে ভার্চুয়াল কীবোর্ড দিয়ে লেখতে পারবেন, ছবি অ্যাড করতে পারবেন, ভয়েস রেকর্ডিং অ্যাড করতে পারবেন, আঙ্গুল বা সটাইলাস দিয়ে ছবি আঁকতে পারবেন এমনকি চেকবক্সও অ্যাড করতে পারবেন।

OneNote অ্যাপটিতে একটা সার্চ ফিচার আছে যেটা আপনাকে নোটগুলো সহজে সার্চ করার সুযোগ করে দেবে।

2. Google Keep

Google-Keep

যদি আপনি শর্ট বা ছোট নোট নিতে চান তাহলে আপনি Google Keep ব্যাবহার করতে পারেন। তার মানে এই না যে আপনি লং নোট নিতে পারবেন না তবে এর জন্য OneNote ব্যাবহার করলেই বেশি ভালো হবে। অ্যাপটি অনেকটা OneNote এর মত ফিচার অফার করে।

এখানেও আপনি নোট অর্গানাইজ করার জন্য নোটে লেবেল লাগাতে পারবেন। নোট এ ছবি, অডিও, পেইন্টিং, চেক বক্স ইত্যাদি অ্যাড করতে পারবেন। নোটগুলোতে আলাদা ব্যাকগ্রাউন্ড কালার লাগাতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাপটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম সিনকিং সাপোর্ট করে। 

এমন হতে পারে যে আপনি কিছু নোট অ্যাপটির মধ্যে দেখতেও চান না আবার সেটা ডিলিটও করতে চান না এক্ষেত্রে আপনি আর্কাইভ করতে পারেন সে নোটগুলো। এভাবে নোটগুলো মেইন ভিউ থেকে চলে যাবে। 

কোনো নোট ডিলিট করলে সেটা ৭ দিন পর্যন্ত ট্র্যাশ এ থাকবে এরপর পার্মানেন্ট ডিলিট হয়ে যাবে। আপনি নোটের উপর রিমাইন্ডার সেট করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি নোটগুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ারও করতে পারবেন।

3. Evernote

Evernote

লিস্টের শেষ নোট টেকিং অ্যাপ হলো Evernote যেটা অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়। টপ থ্রি নোট টেকিং অ্যাপ এর লিস্ট করলে Evernote সেটার মধ্যে অবশ্যই থাকবে।

অ্যাপটি ইউজ করতে হলে আপনাকে ইমেইল বা গুগল একাউন্ট দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। নোট নেওয়ার জন্য অনেক ধরনের অপশন থাকবে অ্যাপটিতে যেমন: টেক্সট, অ্যাটাচমেন্ট, হ্যান্ড রাইটিং, ফটো, অডিও ইত্যাদি।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক ব্যাবহার করে আপনি নোট সিকিউর করতে পারবেন। যেহেতু অ্যাপটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম তাই আপনার নোটগুলো যেকোনো ডিভাইস থেকে দেখা যাবে।

এছাড়া অ্যাপটিতে রিমাইন্ডার সেট করা যাবে, চেকলিস্ট বানানো যাবে, ইভেন্ট প্ল্যান করা যাবে ইত্যাদি। অ্যাপটির এত বেশি ফিচারস দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেলে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া টিপস এন্ড ট্রিকস দেখে নিতে পারেন।

যদিও অ্যাপটি ফ্রি তবে আপনি পেইড ভার্সনে আপগ্রেড করলে আরো বেশি স্টোরেজ স্পেস আর ২ এর অধিক ডিভাইসে Evernote চালাতে পারবেন।

সেরা ওয়ার্ড প্রসেসর অ্যাপস– ভালো লেখালেখির জন্য দরকারি

পূর্বের নোট টেকিং অ্যাপগুলো অনেক কাজের হলেও কোনো রিপোর্ট বা প্রতিবেদন লেখার জন্য সেই অ্যাপগুলো পর্যাপ্ত ফরম্যাটিং অপশন প্রদান করে না।

এক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটা ভালো ওয়ার্ড প্রসেসর অ্যাপ যেটা দিয়ে আপনি  লেখালেখি করবেন, সেটা সম্পাদনা করবেন এবং সেটাকে ফরম্যাট করে একটা প্রো লুক দিতে পারবেন। 

গুগল প্লে বা অ্যাপ স্টোরে অনেক ওয়ার্ড প্রসেসর অ্যাপ আছে কিন্তু আমরা নিচে রেখে দিচ্ছি ২টি সেরা ওয়ার্ড প্রসেসর অ্যাপ উভয় প্ল্যাটফর্ম এর জন্য।

1. Google Docs

Google-Docs

মোবাইলের জন্য সেরা ওয়ার্ড প্রসেসর হতে হলে সর্বোত্তম আদর্শ হলো Google Docs। অ্যাপটি গুগল ড্রাইভ এর সাথে সিমলেস ইন্টারগ্রেশন অফার করে। অ্যাপটিতে লেখা ডকুমেন্ট বা ডকুমেন্ট এর এডিটিং রিয়াল টাইমে সেভ হয় তাই বারবার একটা প্রজেক্ট সেভ করা লাগে না।

টেক্সট ফরম্যাট করে ডকুমেন্টকে সুন্দর রূপ দেওয়ার জন্য অ্যাপটিতে আছে অনেক ফরম্যাটিং অপশন। যেমন: ফন্ট, ফন্ট কালার, ফন্ট সাইজ, বুলেটস, বোল্ড, ইটালিক, আন্ডারলাইন, প্যারাগ্রাফ লাইন স্পেস ইত্যাদি।

তাছাড়া লেখার মধ্যে ছবি ও লিংক অ্যাড করার সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে। কোনো ডকুমেন্ট এর ওয়ার্ড কাউন্টিং থেকে শুরু করে কোনো লাইন, শব্দ, বর্ণ রিপ্লেস করার অপশন থাকবে Google Docs এ। 

ডকুমেন্ট ক্রিয়েট করা ছাড়াও এক্সিস্টিং মাইক্রসফট ওয়ার্ড ফাইল এডিট করা যাবে অ্যাপটিতে। নিজের লেখা অফলাইনে ইউজ এর জন্য সেভ করা যাবে এবং বন্ধুদের নিকট শেয়ারও করা সম্ভব।

ক্রস প্ল্যাটফর্ম সিঙ্কিং থাকায় যেকোনো ডিভাইস থেকে ডকুমেন্ট অ্যাকসেস করা যাবে।

2. Microsoft Word

Microsoft-Word

ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে অধিকাংশ মানুষ টাইপিং করেন Micrsoft Word সফটওয়্যার ব্যাবহার করে। ওয়েল উইন্ডোজ এর মত আইওএস বা এন্ড্রয়েড ফোনের জন্যও এই Micrsoft Word একটি সেরা ওয়ার্ড প্রসেসিং অ্যাপ।

অ্যাপটিতে একবার মাইক্রোসফট একাউন্ট দিয়ে সাইন-ইন করলে সকল ডকুমেন্ট ওয়ানড্রাইভে দিয়ে অটোমেটিক্যালি সেভ হয়ে যায়। টাইপ করার জন্য পূর্বের কোনো ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন করতে পারবেন বা নতুন করে ডকুমেন্ট বানাতে পারবেন।

ডেস্কটপ এর মতো এই মোবাইল অ্যাপেও ডকুমেন্ট বানানোর জন্য অনেক টেমপ্লেট পাবেন যেমন: যোর্নাল, নিউজলেটার, রিসার্চ পেপার ইত্যাদি। আবার আপনি চাইলে একটা ব্ল্যাঙ্ক পেজ নিয়েও কাজ করতে পারেন।

Microsoft Word এর ফরম্যাটিং অপশন এর নাম বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু কিছু বলে দিচ্ছি– ফন্ট, ফন্ট সাইজ, ফন্ট কালার, প্যারাগ্রাফ ফরম্যাটিং ইত্যাদি। 

Google Docs এর মতো এই অ্যাপটিতেও ডকুমেন্ট শেয়ার করার অপশন পাবেন। তবে সেটা ওয়ানড্রাইভ ব্যাবহার করে বা ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে।

সেরা ডিকশোনারি অ্যাপস– শব্দ এর অর্থ জানার জন্য

একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যেমন একটা ডিকশনারি ছাড়া অসম্পূর্ণ ঠিক সেইরকম আমাদের এই লিস্টের অ্যাপগুলোতেও কোনো ভালো ডিকশনারি না থাকলে লিস্টাও অসম্পূর্ণ হবে।

তাই এখন আমরা দেখবো ভালো অভিধান। মানে ডিকশনারি অ্যাপগুলো।

1. Merriam-Webster Dictionary

Merriam-Webster-Dictionary

মোবাইলের জন্য ভালো ডিকশনারি খুঁজলে এই Merriam-Webster Dictionary ডাউনলোড করার পরামর্শ রইলো। যেকোনো নরমাল ডিকশনারি এর মতো এই অ্যাপটিতেও যেকোনো ইংলিশ ওয়ার্ড এর অর্থ জানতে পারবেন।

ইংলিশ ওয়ার্ডটির উচ্চারণ (pronunciation) শুনতে পারবেন, ওয়ার্ডটির কিছু বাক্যে প্রয়োগ করার উদাহরন দেখতে পাবেন এবং ওয়ার্ডটির কোথা থেকে সৃষ্টি সেটা সমন্ধে একটা ছোট ধারণা পাবেন।

তাছাড়া সর্বশেষ সার্চ করা ওয়ার্ডগুলো দেখতে পারবেন রিসেন্ট সার্চ হিস্টরিতে। যদি কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে বা মনে রাখতে কষ্ট হয় তাহলে সেটা ফেভারিট সেকশনে রাখতে পারবেন যাতে পরবর্তীতে সেটা চোখে পড়ে।

যাতে আপনার ভোকাবুলারি ইনক্রিজ হয় সেজন্য অ্যাপটি আপনাকে দেখাবে 'ওয়ার্ড অফ দা ডে'। অ্যাপটিতে কিছু ওয়ার্ড গেমস আছে যেগুলো আপনার শব্দভাণ্ডার বাড়িয়ে দেবে। 

অ্যাপটির ফ্রি ভার্সনে কিছু বিজ্ঞাপন আছে তবে ৩৫০ টাকা দিয়ে এর প্রিমিয়াম ভার্সন কিনলে কোনো বিজ্ঞাপন থাকবে না বরং আপনি সেখানে নতুন গ্রাফিক্যাল ইলুস্ট্রেশন পাবেন।


2. Oxford Dictionary Of English

Oxford-Dictionary-Of-English

আরেকটি অসাধারণ ডিকশনারি অ্যাপ হলো Oxford Dictionary। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্ম এর জন্য এটি একটি সেরা অভিধান অ্যাপ। এতে আছে ৩,৫০,০০০ এর অধিক ওয়ার্ড ও ফ্রেস । সকল ইংলিশ ওয়ার্ড এর অর্থ এই অ্যাপটিতে পেয়ে যাবেন।

যারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক ইংলিশ শিখতে চান যেমন ব্রিটিশ ইংলিশ তাহলে এই অ্যাপটি অনেক কাজে দিবে। কারণ এই অ্যাপটি রিজিওনাল ইংলিশ শেখার জন্য অনেক ভিন্নধর্মী ফিচারস নিয়ে আসে।

যেকোনো শব্দের উচ্চারণ অ্যাপটিতে শোনা যাবে। অ্যাপটিতে ফোল্ডার বানানোর অপশন আছে যেখানে আপনি অনেকগুলো শব্দ রেখে দিতে পারেন। আপনার জ্ঞানভাণ্ডার বাড়িয়ে তুলার একটা ভালো উপায়।

Oxford Dictionary অ্যাপটি অন্যান্য অ্যাপ থেকে কাস্টোমাইজেশনের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আপনি পছন্দ অনুযায়ী অ্যাপটিকে টিউন করতে পারবেন যাতে নিজের ইচ্ছামত শব্দ শিখতে পারেন।

অ্যাপটির প্রিমিয়াম ভার্সন কিনলে আপনি অফলাইনে অ্যাপটি ব্যাবহার করে শব্দের অর্থ জানতে পারবেন। একটা ভালো ও সমৃদ্ধ ডিকশনারি অ্যাপ দরকার হলে এই অ্যাপটি ট্রাই করতে পারেন।


সেরা লার্নিং অ্যাপ– নতুন কিছু শিখার জন্য

স্কুলের ক্লাসরুমে শিক্ষা সবার ভালো লাগে না কারণ ঘণ্টার পর ঘন্টা ওই একই রুম আর বেঞ্চের উপর বসে একটা অস্থিরতা চলে আসে। তবে এটা ভালো অস্থিরতা না বিষাদ অস্থিরতা। এই লকডাউনে বাসায় বসে পড়া পূর্বের থেকে হাজারগুণ বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।

তাই আমরা দেখবো এমন কিছু লার্নিং অ্যাপ যেগুলো একজন স্টুডেন্ট সহজ ও আনন্দের সাথে ব্যাবহার করতে পারে।

1. Khan Academy

Khan-Academy

যারা আসলেই কিছু শিখতে চায় তাদের জন্য Khan Academy লার্নিং অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় দুনিয়ায় সেরা। নিজের স্কিল ইমপ্রুভ করা কিংবা কোনো বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো যা কিছুই করতে চান না কেনো এই অ্যাপটি আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করবে।

অ্যাপটিতে আছে ১০,০০০ এর অধিক ভিডিও যেগুলো অনেক ভালোভাবে যেকোনো টপিক বুঝিয়ে দেবে। আপনার অনুশীলন এর জন্য অ্যাপটিতে আছে ইন্টারেক্টিভ কোশ্চেন যেগুলো আপনার দুর্বলতা দুর করে দিবে।

অ্যাপটি আপনার লার্নিং স্পিড ও স্কিলস বিশ্লেষণ করে আপনাকে গাইড করবে এবং সেই সাথে বলে দিবে কোন দিকগুলোতে আপনার সমস্যা আছে। অ্যাপটিতে এক পার্সোনালাইজড রেকমেন্ডেশন ট্যাব আছে যেটা আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট দেখাবে।

2. Dulingo

Duolingo

ভাষা শেখা কিন্তু সহজ নয়। সবারই যে নতুন কোনো ভাষা শিখতে ভালো লাগবে সেটা কিন্তু সত্য না। যথাপযুক্ত উপায়ে না শেখানো হলে সহজেই সেই ভাষা শেখার আগ্রহ চলে যায়।

ওয়েল যাদের নতুন কোনো ভাষা শেখার দরকার বা আগ্রহ আছে তাদের জন্য Dullingo অ্যাপটি নির্মাণ করা হয়েছে। অ্যাপটিতে অনেক ভাষা শেখা সম্ভব যেমন: ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, লাটিন, মান্দারিন ইত্যাদি।

অ্যাপটিতে ভাষা শেখার মাধ্যম ও পদ্ধতি অনেক আকর্ষণীয় এবং  সহজ কেননা এটি ইন্টারেক্টিভ কোশ্চেন ও ফান গেমস এর মাধ্যমে ভাষা শেখায়। প্রথম দিকে পিকচার লেবেলিং গেম খেলতে হবে এর পর যতো এক্সপি বাড়বে ততো জটিল ও চ্যালেঞ্জিং গেম আসবে।

আপনি চাইলে ডেইলি গোল নির্ধারণ করতে পারবেন এবং অ্যাপটি আপনার পারফরম্যান্স এর উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত ইনসাইট প্রদান করবে। তাই আপনি আপনার প্রগ্রেস ট্র্যাক করতে পারবেন। 

Dulingo অ্যাপটিতে ৩০টি আলাদা ভাষা শেখার উপায় আছে।

3. BYJU'S

BYJU'S–The-Learning-App

যদি কিছু শেখারই ইচ্ছা করে তাহলে BYJU'S থেকে ভালো খুব কম অ্যাপই আছে। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ৫০ মিলিয়ন এর অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

অ্যাপটিতে লাইভ ক্লাস করার সুযোগ আছে এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি ইত্যাদি সাবজেক্টের ভারতের সেরা শিক্ষকরা এখানে পড়িয়ে থাকেন।

৫০,০০০ এর অধিক ভিডিও ও টেস্ট রাখা আছে অ্যাপটিতে যেটা কোনো না কোনোভাবে একজন স্টুডেন্টকে অবশ্যই সাহায্য করবে। অ্যাপটি আপনার লার্নিং স্কেল বুঝে পার্সোনালাইজড কন্টেন্ট রেকমেন্ড করে।

4. Udemy

Udemy

আরেকটি অসাধারণ লার্নিং অ্যাপ Udemy। অ্যাপটি শিক্ষণীয় অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে আছে ১,৩০,০০০ এর অধিক ভিডিও টিউটোরিয়াল যেগুলো বানানো হয়েছে একাধিক টপিক এর উপর– টেকনোলজি, বিজনেস, ড্রইং, রাইটিং, জোগা ইত্যাদি।

অ্যাপটির আরেকটি ভালো দিক হলো যে আমরা আমাদের যোগ্যতা ও লার্নিং অ্যাবিলিটি অনুযায়ী শিখতে পারি। কোনো লেসনে যদি আপনি আটকে পড়েন বা কোনো কারণে যদি সেটা না পারেন তাহলে আপনি অন্যান্য স্টুডেন্ট ও টিচারদের সাহায্য নিতে পারবেন।

যদি আপনার মস্তিষ্কে কোনো কিছু করার বা বানানোর চিন্তা আসে Udemy এর শিক্ষকরা আপনার হাত ধরে সেই চিন্তা বাস্তবায়নে সাহায্য করবেন।

5. BBC Learning English

BBC-Learning-English

আচ্ছা, যারা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা শিখতে চান তাদের জন্য এই অ্যাপটি বিশেষ করে বের করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কাউন্সিল (বিবিসি)। এই অ্যাপটি ইতিমধ্যে গুগল প্লে স্টোরে ১ মিলিয়ন এর বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে।

অ্যাপটি বেশ লাইটওয়েট মাত্র ৬ মেগা বাইট তাই আপনার স্টোরেজ খাবেই না। অ্যাপটিতে ইংলিশ পডকাস্ট শুনতে পারবেন এবং ইংলিশ কুইজ দারা নিজেকে যাচাই করে নিতে পারবেন।

অ্যাপটির হোম ট্যাবে প্রতিদিন নতুন ইংলিশ ওয়ার্ড, ফ্রেস বা বাক্য দেখাবে। এবং আপনি প্রিয় অডিও প্রোগ্রাম যেটা অবশ্যই ইংরেজিতে ডাউনলোড করে অফলাইনে শুনতে পারবেন।

6. Robi 10 minute School

Robi-Ten-Minute-School

বাংলাদেশী হিসেবে একটা চমৎকার লার্নিং প্ল্যাটফর্ম প্রমোট করা যেটা একজন বাঙালির উদ্যোগে তৈরি আমার নৈতিক দায়িত্ব। এখন যেই কথাটা লিখলাম সেটা প্রায়ই বইতে পড়ি।

যাই হোক আয়মান সাদিক ভাইয়ার উদ্যোগ ও রবির সহযোগিতায় তৈরি টেন মিনিট স্কুল এখন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ফ্রি লার্নিং সাইট ও ইউটিউব চ্যানেল।

তাদের মোবাইল অ্যাপে ১৭,০০০ এর অধিক ভিডিও সংকল করা আছে যেগুলো ডাউনলোড করা যাবে। কুইজ, স্মর্টবুক, নোটস ইত্যাদির সাথে অ্যাপটি প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য পারফেক্ট ভাবে লেসন ও ক্লাস ডিজাইন করে রেখেছে।

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ক্লাস ১ থেকে সম্ভত সর্বশেষ শিক্ষা ধাপ পর্যন্ত অ্যাপটিতে কন্টেন্ট রাখা আছে। এমনকি স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্যও অ্যাপটি পারফেক্ট। 

পাওয়ার পয়েন্ট, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি বিষয়ে বিনামূল্যে কোর্স করার সুযোগ আছে। অ্যাপটিতে টেন মিনিট ব্লগ সেকশনও আছে যেখানে সব অস্থির জ্ঞান দান করা হয়। যেমন: লাইফ হ্যাকস, ক্যারিয়ার।

সেরা অর্গানাইজার অ্যাপ– যাতে সবকিছু অর্গানাইজড থাকে

একবার যখন সকল নোট সংকলন করে ফেলেছেন এবার সবচেয়ে কঠিন হলো সেগুলো অর্গানাইজ করা। আমার কথা বললে আমি কখনো কোনো কিছু অর্গানাইজ করতে পারি না। তাই আমার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর সাহায্য নিতে হয়।

আপনারও যদি আমার মতো সব কিছু অর্গানাইজ করতে কষ্ট হয় তাহলে আপনিও এই অ্যাপগুলো ব্যাবহার করে সবকিছু অর্গানাইজ করতে পারবেন।

1. Office Lens

Microsoft-Office-Lens

সবসময় সব ক্লাসে অ্যাটেন্ড করা বা উপস্থিত থাকা সম্ভব না। কোনো না কোনো কারণের জন্য আমাদের সবারই ক্লাস মিস যায়। তাই এমন সময় ক্লাসের নোটগুলো কপি করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

আবার হতে করে ক্লাসে কোনো কারণে ভালো লাগছে না তাই আপনি একটা ছবি তুলে নিলেন বোর্ড এর। কিন্তু সেটা পরে দেখলে মনে হবে একটা জঙ্গল এর মত। Office Lens এই কাজের জন্য  একটা সেরা অ্যাপ।

অ্যাপটির কাজ হলো ছবি তোলা কিন্তু সেটা নরমাল কোনো ছবি না। বরং অ্যাপটি বিশেষ করে তৈরি করা হয়েছে ডকুমেন্ট এর ছবি তুলার জন্য। যেই এঙ্গেলে ছবি তুলা হোক না কেন ছবি অসাধারণ উঠবে।

ভিন্ন ভিন্ন জিনিসের ছবি তুলার অপশন আছে অ্যাপটিতে যেমন: ডকুমেন্ট, হোয়াইটবোর্ড বা বিজনেস কার্ড। ছবিগুলো অর্গানাইজ করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট কিছু ছবি নিয়ে পিডিএফ ফাইল বানিয়ে ফেলতে পারবেন। 

নির্দিষ্ট চ্যাপ্টারের বা সাবজেক্টের পিডিএফ বানাতে পারবেন। তাছাড়া পিডিএফ ফাইলগুলো বা ছবিগুলো বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

2. Adobe Scan

Adobe-Scan

ডকুমেন্ট স্ক্যান করার জন্য সেরা অ্যাপগুলোর একটি  Adobe Scan। যেহেতু অ্যাপটির সাথে অ্যাডোব এর নাম জুড়িয়ে আছে তাই আমরা আশাই করতে পারি অ্যাপটি অনেক ভালো ফিচারস নিয়ে আসবে।

অ্যাপটি দিয়ে আপনি ডকুমেন্ট, নোটস, আইডি কার্ড ইত্যাদি স্ক্যান করতে পারবেন যেটা সম্ভব করে এর স্মার্ট স্ক্যানার। এটি ডকুমেন্ট টাইপ বুঝে কৃত্রিম বুদ্ধি মত্তার সাথে ইমেজ ক্রপ করে যেটা আপনার সময় ও শ্রম দুটোই বাচায়।

ডকুমেন্ট এর টেক্সট স্ক্যান করার উপায়ও আছে অ্যাপটিতে। তাছাড়া আপনি স্ক্যান করা ডকুমেন্ট জেপেগ বা পিডিএফ ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করতে পারবেন। তাছাড়া স্ক্যান করা ডকুমেন্টে অ্যাপটি কোনো ওয়াটারমার্ক রাখে না।

সব দিক বিবেচনায় অ্যাপটি একটা অসাধারন ডকুমেন্ট স্ক্যানার অ্যাপ।

সেরা ক্লাউড স্টোরেজ অ্যাপ– সব ফাইল স্টোর করার জন্য

টেকনলজির দুনিয়া এখন আস্তে আস্তে ক্লাউড টেকনোলজির দিকে চলে যাচ্ছে। উচিত হবে ক্লাউড স্টোরেজের ব্যাবহার আপনিও করেন। আপনি সকল ডকুমেন্ট আর নোট ক্লাউডে রাখতে পারবেন এবং যখন ইচ্ছা তখন সেটা অ্যাকসেস করতে পারবেন।

আপনাকে কোনো মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ নিয়ে ঘুরতে হবে না। যেকোনো ব্রাউজার ইউজ করে আপনি ফাইলগুলো পেতে পারবেন। নিচে ভালো কিছু ক্লাউড স্টোরেজে অ্যাপ উল্লেখ করা হলো:

1. Google Drive

Google-Drive

হতে পারে আপনি অনেক আগে থেকেই গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করছেন তবে এটা একজন স্টুডেন্ট এর জন্য একটি সেরা অ্যাপ হতে পারে। গুগল ক্লাউডে ফাইলস ও ফোল্ডার আপলোড করতে পারবেন।

এমনকি অ্যাপ থেকেই ফোল্ডার বানাতে পারবেন এবং আপলোড করতে পারবেন ক্লাউডে। তাছাড়া ইমেজ স্ক্যান করেও আপলোড করতে পারবেন। তাই এটি একটি ভালো ইমেজ স্ক্যানার অ্যাপও বটে।

গুগল ড্রাইভে কুইক অ্যাকসেস নামে একটা ট্যাব আছে যেখানে আপনার ইউসেজ অনুসারে যেটা অ্যাপটি দরকারি বলে মনে করে সেই ফাইল দেখাবে। চাইলে আপনি এই ফিচারটি সেটিংস থেকে অফ করে দিতে পারবেন।

যদি আপনি গুগল ফোটোস ব্যাবহার করেন ফোনের গ্যালারি অ্যাপ হিসেবে তাহলে আপনার ছবিগুলো সরাসরি গুগল ড্রাইভে আপলোড করতে পারবেন। প্রত্যেক গুগল একাউন্টে ১৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি পাবেন।

আরো বেশি স্টোরেজ দরকার হলে সেটা টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারেন। অ্যাপটির ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট থাকায় যেকোনো ডিভাইস থেকে ক্লাউড অ্যাকসেস ও ইউজ করতে পারবেন।

2. Dropbox

Dropbox

ক্লাউড স্টোরেজ এর জন্য আরেকটি ভালো অ্যাপ হলো Dropbox। অ্যাপটিতে একাউন্ট বানানোর পর ২ জিবি স্টোরেজ ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। তবে Dropbox Plus এ আপগ্রেড করলে আপনি পাবেন ১ টেরা বাইট এর স্টোরেজ।

Dropbox Plus এ প্রতিমাসে $৯.৯৯ বা একবছরে $৯৯ দিতে হবে।

আপনি যদি আপনার বন্ধুদের Dropbox ইনস্টল করার জন্য ইনভাইট করেন আর তারা যদি ইনস্টল করে তাহলে আপনি প্রত্যেক ডাউনলোডের জন্য ১জিবি ফ্রি স্টোরেজ স্পেস পাবেন।

অ্যাপটির কার্যক্রম গুগল ড্রাইভ এর মতোই। আপনি ফাইলস বা ফোল্ডার আপলোড বা তৈরি করতে পারবেন, ডকুমেন্ট স্ক্যান করতে পারবেন এবং ডেস্কটপ ক্লায়েন্ট ইনস্টল করে যখন ইচ্ছা তখন ফাইলস অ্যাকসেস করতে পারবেন।

আপনার গ্যালারির সকল ছবি ড্রপবক্সের সেটিংস থেকে সরাসরি আপলোড করতে পারবেন। তাছাড়া ডেটার সিকিউরিটির জন্য অ্যাপটিতে আছে বিল্ট-ইন পাস্কোড এর সুবিধা।

বিল্ট-ইন পাস্কোড এনাবল করার আপনি চাইলে ১০ বার ফেইল্ড এটেম্পটের পর ইরেজ অল ডেটা সিকিউরিটি ফিচারটি ইউজ করতে পারেন

সেরা ক্যালকুলেটর অ্যাপ– আরো ভালো করে ক্যালকুলেশনের জন্য

এতক্ষন আমরা প্রায় সবকিছু নিয়ে কথা বললাম যা একজন স্টুডেন্ট এর জন্য অনেক কাজের হতে পারে। তবে এই গাইডটি কখনো আল্টিমেট হবে না যতক্ষণ না একটা ভালো ক্যালকুলেটর অ্যাপের কথা বলা হচ্ছে।

আচ্ছা, ফোনের স্টক ক্যালকুলেটর অ্যাপে কি কাজ হতো না ? না, স্টক ক্যালকুলেটর অ্যাপ কখনো অ্যাডভান্সড হয় না। তাই আপনার দরকার একটা ভালো এক্সট্রা ফিচারস সম্বলিত ক্যালকুলেটর অ্যাপ। নিচে কিছু ভালো ও অ্যাডভান্সড ক্যালকুলেটর অ্যাপ উল্লেখ করা হলো:

1. Geogebra Graphic Calculator

Geogebra-Calculator

জ্যামিতি করতে ভালো লাগে কারও ? আমার মত যারা জিয়মেট্রি পারেন না তাদের জন্য এই অ্যাপটি। সমীকরণ থেকে গ্রাফ বানাতে না পারলে এই অ্যাপটি দারুন কাজে দিবে। অ্যাপটি দিয়ে কোনো সমীকরন এর উত্তর ঠিক কিনা ভুল যাচাই করা সেকেন্ডের ব্যাপার।

একটা সমীকরণে সর্বোচ্চ ৩টা চলক রাখা যাবে এবং সমীকরণে পদগুলোর মাত্রা বা ঘাতও থাকতে পারে। তাছাড়া অ্যাপটিতে গ্রাফ আঁকা যাবে হাত দিয়ে কিংবা অ্যাপটির মধ্যে থাকা টুল গুলো দ্বারা।

2. RealCalc

RealCalc

আপনার ফোনে কি স্টোরেজ কম ? যদি কম হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য এই ক্যালকুলেটর অ্যাপটি। অ্যাপটি খুব কম স্টোরেজ স্পেস নেয়। একটা নরমাল সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটরে যেরকম ম্যাথ করা সম্ভব ঠিক সেরকম ম্যাথ এই অ্যাপটিতে  করা যাবে।

এতে ত্রিকোণমিতি ফাংশনস, ইউনিট কনভার্সন, হাইপারবলিক ফাংশন ইত্যাদি ফিচারস আছে। অ্যাপটির লুক চাইলে সেটিংস থেকে টুইক করা যাবে। 

RealCalc অ্যাপটির ফ্রি ভার্সনে আপনি সকল দরকারি ফিচারস পেয়ে যাবেন তবে RealCalc Plus এ আপগ্রেড করলে আপনি নতুন ফিচারস পাবেন যেমন: ভগ্নাংশ করা, কাস্টোমাইজড ইউনিট কনভার্সন। প্রিমিয়াম ভার্সন পাবেন মাত্র ৪৫০ টাকায়।

বোনাস অ্যাপ– Socratic

Socratic

আচ্ছা, গাইডটি শেষ করবো একটা বোনাস অ্যাপ দিয়ে। আর এই অ্যাপটি হলো Socratic। অঙ্কের সমস্যা সমাধান করার জন্য এই অ্যাপটি একটা ভেরি বেস্ট সলিউশন। এমনকি অ্যাপটি ২০১৮ সালে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ অফ দা ইয়ার এর খেতাব পায়।

আমিও এই অ্যাপটি ইউজ করেছি। পাটিগণিত বা জ্যামিতি অ্যাপটি দিয়ে সলিউশন করিনি কারণ বাংলা লেখা অ্যাপটি বুঝতে পারে না। কিন্তু বীজগণিত এর সমাধান অ্যাপটি অনেক ভালোভাবে দিয়েছে।

ত্রিকোণমিতি এবং লগ এই ধরনের অঙ্কগুলো অ্যাপটি সমাধান করতে পারবে। সরাসরি ফোনের ক্যামেরা ব্যাবহার করে ম্যাথ প্রবলেম এর ছবি তুলতে পারবেন এবং অ্যাপটি অটোমেটিক গেস করে সেই ম্যাথের এলিমেন্ট স্ক্রিনে দেখাবে। এরপর এর সমাধান দেখতে পারবেন।

নিজ হাত দিয়ে অ্যাপটিতে অঙ্ক লিখে বা টাইপ করে সমাধান পাওয়া যাবে। অ্যাপটি এখন গুগল এর আওতায়। তাই পারফেক্টলি ফাইন ও অস্থির।

শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যাবহার করে লেখাপড়া করার আল্টিমেট গাইড নিয়ে মন্তব্য

এখন যেহেতু আপনি স্মার্টফোনে লেখাপড়া করার আল্টিমেট গাইড পরে ফেলেছেন আশা করি পড়াশোনা করতে আর আগের মতো বোরিং লাগবে না। কিন্তু আপনাকে স্মার্টফোনের ডিস্ট্র্যাকশন কাটিয়ে উঠতে হবে।

যদি অন্যান্য অ্যাপ আপনাকে বিভ্রান্ত না করে তাহলে লিস্টের অ্যাপগুলো আপনার পড়াশোনা আরো আনন্দদায়ক করতে অনেক সাহায্য করবে।

লিস্টের কোন অ্যাপগুলো আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো ? কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আর আপনার বন্ধুদের নিকট এই আর্টিকেল শেয়ার করুন যাতে তারাও আপনার মত গ্রেট হতে পারে। আল্লাহ হাফেজ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কিভাবে অনেকগুলো ফেসবুক পোস্ট একসাথে ডিলিট করবেন ? [২০২১]

  আজকাল যার কাছে স্মার্টফোন আছে তার কাছে যে একটা ফেসবুক একাউন্ট আছে সেটা নিশ্চিত। ফেসবুকে ছবি, ভিডিও কিংবা নিজের ভাবনা-চিন্তা প্রকাশ করা একটা অনেক সহজ কাজ। তবে সব সময় সব কিছু পোষ্ট করা যে সকলের নিকট ভালো লাগবে সেটা বলা সম্ভব না। অনেকের হয়তো আপনার পোস্ট করা কোনো ছবি বা ভিডিও বা স্ট্যাটাস ভালো নাও লাগতে পারে বা অন্য কোনো কারণবশত আপনি কোনো পোস্ট ডিলিট করতে চান। যদিও ফেসবুক ইউজারদের তাদের পোস্ট ডিলিট করার সুযোগ দিত অ্যাকটিভিটি লগ থেকে তারপরও ওই প্রক্রিয়া টা কিছুটা জটিল আর সময় সাপেক্ষ ছিল। তবে এই কাজটা করা অনেক সহজ হয়ে গেছে কারণ আপনি এখন অনেক গুলো পোস্ট একসাথে ডিলিট করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা দেখবো কিভাবে অনেক গুলো ফেসবুক পোস্ট একসাথে ডিলিট করবেন একসাথে অনেকগুলো ফেসবুক পোস্টগুলো ডিলিট করবেন যেভাবে (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস)

৪০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ল্যাপটপ [২০২০]

আপনি কি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ল্যাপটপ খুঁজছেন ? যদি আপনার উত্তর 'হ্যা' হয়ে থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা নির্বাচন করেছি ৪০ হাজার টাকায় সেরা ল্যাপটপ। ল্যাপটপ এমন একটা ডিভাইস যেটা আজকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্টুডেন্ট (Student) থেকে বিজনেস ম্যান (Business Man) সবার কাছে একটা ল্যাপটপ থাকা আবশ্যক। বেশিরভাগ ল্যাপটপ ক্রয় করার সময় ৩০ থেকে ৪০ হাজার বাজেটের ল্যাপটপ গুলো অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কারণ এই প্রাইস সেগমেন্ট এর ল্যাপটপগুলো অনেক জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী তাদের মাঝে। নিজের জন্য একটা ভালো এবং উপযুক্ত ল্যাপটপ বাছাই করা একটা সুই এর ভিতর সুতা প্রবেশ করানোর মতো কঠিন। তবে যাদের বাজেট ৪০ হাজার টাকার নীচে তাদের ল্যাপটপ বাছাই করণের কাজকে সহজ করার জন্য আমরা আজকে কিছু সেরা ল্যাপটপ এর ব্যাপক লিস্ট সংকলন করেছি। আশা করি আপনারা সবাই লিস্ট থেকে কিছুটা উপকৃত হবেন। ৪০ হাজার টাকায় সেরা ল্যাপটপ [২০২০]